মুন্সিগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ক্লিনিক ভাংচুরে আহত হয়েছে ৫জন। মঙ্গলবার বিকাল ৪ টার দিকে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার সিপাহীপাড়ায় অবস্থিত বিক্রমপুর ক্লিনিক ও ডায়গোস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সদর উপজেলার রামপালের সুয়াপাড়া গ্রামের কবির হোসেনের স্ত্রী গর্ভবতি নাদিয়া কবির (২২)কে ডাক্তার দেখানোর লক্ষে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় বিক্রমপুর ক্লিনিক ও ডায়গোস্টিক সেন্টারে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে তাৎখনিক সিজার করানোর পরামর্শ দেন। পরে দুপুর ১ টার দিকে গাইনী ডাক্তার নাজ চৌধুরীর অধিনে সিজার করানো হয় নাদিয়ার ।
পরে বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে শারিরিক ভাবে নাদিয়ার অবস্থা খারাপ হতে থাকলে তাকে দ্রুত মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেল কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এতে নাদিয়ার আতিœয়স্বজন ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্রমপুর ক্লিনিক ব্যাপক ভাংচুর চালায়। ভাংচুরে আতঙ্কিত হয়ে ক্লিনিকটির অন্যান্য রোগীরা দিকবিদ্বিক ছুটা ছুটি করে ৫ জন আহত হয়।
আগামী ২১ জুলাই নাদিয়ার ডেলিবারি হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু ক্লিনিকটির লোকজন টাকার লোভে সময়ের আগেই তারাহুরো করে সিজার করে ফেলায় ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে নাদিয়া এমন দাবী নাদিয়ার পরিবারের লোকজনের। তবে সিজারে জন্ম নেয়া শিশুটি সুস্থ্য আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন পরিবারের লোকজন।
ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হযেছে নাদিয়ার এমন দাবী করে নাদিয়ার ভাই রিপন বলেন, তারাহুরো করে সিজার করায় আমার বোনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।
ভুল চিকিৎসায় নয় রোগীর মুখে চুংগাম থাকায় শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে নাদিয়ার মৃত্যু হয়েছে দাবী করে সিজার কারী টঙ্গিবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর গাইনী ডাক্তার নাজ চৌধুরী বলেন, নাদিয়া এর আগেও একবার আমাকে দিয়ে সিজার করিয়েছে। তাই এবারও আমাকে খুজে বের করে সিজার করানো অনুরোধ করেন। তবে আমার অপারেশন ঠিকমতই হয়েছে। ওনার গর্ভে জন্ম নেয়া সন্তানও ভালো আছে। নাদিয়ার মুখের চুংগামের কারনে শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে যাওয়া এমন দূঘটনা ঘটেছে। ওর মুখে চুংগাম ছিলো সেটা আগে বল্লে এমনটা হতো না।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাতিমারা ফাড়ি ইনর্চাজ বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর খবরে ক্লিনিকটি ভাংচুর করা হচ্ছে ্এমন খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনা স্থালে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। এখন পরিস্থিত শান্ত আছে। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।